প্রচ্ছদ

বেসরকারি স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রণোদনা দিতে হবে: ড. মীজানুর রহমান

  |  ১০:৫০, জুলাই ১৫, ২০২০
www.adarshabarta.com

Manual8 Ad Code

মোঃ নাসির, বিশেষ প্রতিনিধি :

Manual6 Ad Code

করোনাকালে সবকিছুই থমকে গেছে। তেমনি থমকে গেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোও। নেই প্রাণবন্ত, প্রাণোচ্ছ্বল শিক্ষার্থীদের পদচারণা। তারপরও সরকারি নির্দেশে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে অনলাইন ভিত্তিক ক্লাস কখনোই প্রাতিষ্ঠানিক ক্লাসের বিকল্প হতে পারে না বলে মনে করেন আলোচকরা।

দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপে মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান, তেজগাঁও কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আবদুর রশীদ এবং ভিকারুননিসা নুন স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ফৌজিয়া রিজওয়ান। দৈনিক ভোরের পাতার সম্পাদক ও সম্পাদক ড. কাজী এরতেজা হাসানের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় অনুষ্ঠানের সঞ্চলনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।

Manual7 Ad Code

ড. মীজানুর রহমান বলেন, করোনাকে নিয়েই আমাদের চলতে হবে। আমরা জানি না কবে, করোনা ভাইরাসের টিকা কবে আসবে? টিকা আসলেই যে আমরা সবাই পেয়ে যাবো, তাও ঠিক নয়। এই করোনার কারণে শুধু যে স্বাস্থ্যখাতে আঘাত হেনেছে তা নয়, শিক্ষা, রাজনীতি, অর্থনীতিতে আঘাত হেনেছে। স্বৈরাচার এরশাদ ও জিয়াউর রহমানের আমলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠগুলোতে এত লম্বা ঘাস দেখেছি। এরপর সাম্প্রতিক সময়ে এমনটা দেখিনি। আমরা ইতিমধ্যেই অনলাইন লেখাপড়া শুরু করেছি, যদিও আমি এর বিরোধিতা করেছিলাম। আমি বিশ্বাস করি, প্রযুক্তির মাধ্যমে অনলাইনে লেখাপড়া আর সরাসরি ক্যাম্পাসে রেখে শিক্ষকদের তত্ববধানে শিক্ষা দেয়ার বিকল্প হতে পারে না। জাতির জনকের সোনার বাংলা বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে আমাদের এটা মাথায় রাখতে হবে, সারাদেশে এখন সমান ক্ষমতাসম্পন্ন ইন্টারনেট নেই। সেখানে আমরা একটা সিদ্ধান্তে এসেছি, ডিজিটাল পদ্ধতিতে ক্লাস চালু করেছি। বাংলাদেশের প্রায় সকল পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনলাইন ক্লাস শুরু হয়েছে। এছাড়া আমি আরো বলতে চাই, বেসরকারি স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রণোদনা দিতে হবে।

তিনি আরো বলেন, আমরা ক্লাস অনলাইনে নিচ্ছি ঠিক আছে, কিন্তু পরীক্ষা অনলাইনে নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমাদের শিক্ষকরাও তেমনভাবে প্রশিক্ষিত নন। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এইচএসসি পরীক্ষা আয়োজন করা যেতে পারে। এই করোনার সময় শিক্ষকদের আয়ের কথা না ভেবে কাজ করে যেতে হবে। আমরা আশা করছি, এই পরিস্থিতিকে সাথে নিয়েই আমাদের চলতে হবে। তবে বছরের শেষ দিকে ক্যাম্পাসে আমাদের প্রিয় শিক্ষার্থীদের ফেরত পাবো।

Manual1 Ad Code

Manual1 Ad Code
Manual7 Ad Code