প্রচ্ছদ

নিউইয়র্কের সুপরিচিত ব্যাবসায়ী এজে বাবুল’র মৃত্যু

  |  ০৮:৩৭, জুন ১৯, ২০২০
www.adarshabarta.com

Manual5 Ad Code

যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি :

Manual1 Ad Code

নিউইয়র্কের মান্নান গ্রুপের অন্যতম সত্ববাধিকারী এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এ জে বাবুল (৫১) -এর মৃত্যু হয়েছে। তিনি ১৫ জুন সোমবার ভোর ২:৫৮ মিনিটে নিউইয়র্কের সীমানত এলাকা বাফেলো সিটির একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন)। মৃত্যুকালে তিনি মা, স্ত্রী ও তিন কন্যা সহ বহু আআত্নীয়-স্বজন রেগে গেছেন। তার মৃত্যুতে নিউইয়র্কের বাংলাদেশী কমিউনিটিতে শোকাবহ পরিবেশ বিরাজ করছে।

উল্লেখ্য, এ জে বাবুল নিউইয়র্কের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও জেবিবিএ’র সাবেক সভাপতি মরহুম সাঈদ মান্নান-এর পার্টনার ছিলেন। তিনি বরিশাল জেলার বানারী পাড়া উপজেলার সন্তান। খবর বাপসনিউজ’র।

Manual8 Ad Code

জানা গেছে, এ জে বাবুল কিছু দিন আগে ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক কাজে বাফেলো যাওয়ার পর হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক করেন। অবস্থার অবনতি হলে সাথে সাথে তাকে বাফেলো সিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। তিনি সপরিবারে নিউইয়র্কে থাকলেও করোনাভাইরাস পরিস্থিতে বাফালো বেড়াতে যান। তার স্ত্রী ও কন্যারা তার সাথেই ছিলেন। বাফেলোতে তার নিজস্ব বাসা রয়েছে। এ জে বাবুল ১৯৯৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। তিনি মরহুম সাঈদ মান্নান-এর ব্যবসায়িক পার্টনার ছাড়াও ‘ফুড ফেয়ার ও আব্দুল্লাহ সুপার মার্কেট’ নামে নিউইয়র্কে তার নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

:মরহুম এজে বাবুল-এর কন্যার জামাতা আকরাম হোসেন জানান, গত ৩১ মে তিনি (এজে বাবুল) বাফেলো আসেন। এর পরদিন ২ জুন তার হার্ট অ্যাটাক হয়। সাথে সাথে তাকে স্থানীয় বাফেলো জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করার পর করোনা টেষ্ট করা হলে তাতে নেগেটিভ রিপোর্ট পাওয়া যায়। পরবর্তীতে হার্টে সমস্যা পাওয়া যাওয়ায় তাকে ভেন্টিলেশন এবং এক পর্যায়ে লাইফ সাপোর্ট দেয়া হয়। তাকে নিউইয়র্কে এনে চিকিৎসা করানোর মতো পরিস্থিতি ছিলো না। তবে গত ১১ জুন বৃহস্পতিবার তিনি চোখ খুলেছিলেন এবং পরদিন ১২ জুন শুক্রবার একটু কথাও বলেন। কিন্তু ডাক্তারদের মতে তিনি বিপদমুক্ত ছিলেন। পরবর্তীতে তার অবস্থার অবনতি হয় এবং সোমবার (১৫ জুন) ভোর রাতে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। এসময় তার স্ত্রী ও কন্যারা হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন। মোহাম্মদ আকরাম হোসেন জানান, হাসপাতাল থেকে তার মরদেহ পাওয়ার পর গত সোমবার (১৫ জুন) সকালে এবং বিকেলে বাফেলোতে তার পৃথক দুটি জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর মরহুম বাবলুর মরদেহ মঙ্গলবার (১৬ জুন) সন্ধ্যায় নিউইয়র্কে আনার পর ব্রæকলীনের একটি ফিউনেরাল হোমে রাখা হয়। বুধবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে তার মরদেহ ফিউনেরাল হোম থেকে সিটির উডসাইডস্থ তার বাসায় আনা হলে সেখানে তার পরিবারের সদস্য, প্রিয়জন, আত্বীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, ব্যবসায়ী ও প্রবাসীরা শেষবারের মতো দেখেন। এরপর সকাল ১০টার দিকে তার মরদেহ প্রিয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মান্নান সুপার মার্কেটের সামনে, জ্যাকসন হাইটসের ৭৩ স্ট্রীটে আনা হলে সেখানে তৃতীয় দফা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে সকাল সাড়ে ১১টায় চতুর্থ দফা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন হাফেজ মুজাহিদুল ইসলাম। জ্যাকস হাইটস ও জেএমসি’র জানাজা দু’টিতে জেবিবিএ’র নেতৃবৃন্দ সহ প্রবাসী বাংলাদেশীরা অংশ নেন। পরবর্তীতে বুধবার অপরাহ্নে তার মরহদেহ ওয়াশিংটন মেমোরিয়াল মুসলিম কবর স্থানে দাফন করা হয়।

Manual5 Ad Code

এদিকে এজে বাবলুর আকস্মিক মৃত্যুতে আমেরিকায় বাংলাদেশীদের পক্ষ থেকে গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ এবং তার বিদেহী আত্তার মাগফেরাত কামনা করেছেন দেলওয়ার মানিক, জাহাংগীর কবির, জালাল ঊদ্দিন জলিল, কায়কোবাদ খান, নাসির উদ্দিন, সিনিয়র সাংবাদিক হাকিকুল ইসলাম খোকন সহ আরো অনেকে।

Manual5 Ad Code

Manual1 Ad Code
Manual7 Ad Code