প্রচ্ছদ

কমপক্ষে ৪৫ হাজার প্রবাসী বিদেশে আক্রান্ত, মৃত ৯শত

  |  ১৮:১৩, জুন ০৭, ২০২০
www.adarshabarta.com

Manual5 Ad Code

মোঃ নাসির, নিউ জার্সি, আমেরিকা থেকে :

ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে মার্চ পর্যন্ত দেড় মাসে সিঙ্গাপুরে নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল প্রবাসী ৩০ জন বাংলাদেশী। তবে দুই মাসের ব্যবধানেই এ সংখ্যা ১৮ হাজার পেরিয়ে গেছে। প্রবাসী বাংলাদেশীদের মধ্যে কভিড-১৯ আক্রান্তের দিক দিয়ে এটি সর্বোচ্চ। যদিও দেশটিতে এখন পর্যন্ত কভিড-১৯-এ কোনো বাংলাদেশীর মৃত্যু হয়নি। গতকাল পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৫ হাজারের বেশি প্রবাসী বাংলাদেশী। আর এখন পর্যন্ত এতে মৃতের সংখ্যা নয়শ পেরিয়েছে।

বাংলাদেশের প্রধান শ্রমবাজার সৌদি আরবে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণে প্রবাসী বাংলাদেশীদের মধ্যে আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। গত এক সপ্তাহেই দেশটিতে মারা গেছেন অন্তত ১০০ বাংলাদেশী। সব মিলিয়ে গতকাল পর্যন্ত সৌদি আরবে কভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২২০ জন বাংলাদেশী। আর দেশটিতে এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ১১ হাজার প্রবাসী বাংলাদেশী।

শুধু এই দুই দেশেই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাস ও শ্রম উইংগুলো থেকে পাওয়া বেসরকারি তথ্য বলছে, কভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন দেশে গতকাল পর্যন্ত মারা গেছেন অন্তত ৯০৩ জন প্রবাসী বাংলাদেশী। আর আক্রান্তের সংখ্যা পেরিয়েছে ৪৫ হাজার।

Manual6 Ad Code

তবে এ হিসাবের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের কিছু দেশের তথ্য যুক্ত করা সম্ভব হলে আক্রান্তের সংখ্যা আরো বেশি হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। কারণ বেশির ভাগ দেশেই যেসব বাংলাদেশী আক্রান্ত, তারা বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত হলেও বর্তমানে অন্য দেশের নাগরিক।

Manual5 Ad Code

জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত আড়াই শতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশী নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার দুপুরে জ্যামাইকা হাসপাতালে মারা যান রহিমা সরকার (৫৫) নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশী। অন্যদিকে যুক্তরাজ্যে মারা গেছেন প্রায় ৩০০ বাংলাদেশী। এছাড়া ইতালিতে নয়, কানাডায় নয়, ফ্রান্সে পাঁচ, স্পেনে পাঁচ, পর্তুগালে এক ও সুইডেনে আটজন প্রবাসী বাংলাদেশী মারা যাওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়া মালদ্বীপ, পর্তুগাল, কেনিয়া, লিবিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও গাম্বিয়ায় একজন করে বাংলাদেশীর মৃত্যু হয়েছে।

জানা গেছে, মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে প্রায় ৪০ লাখ বাংলাদেশী কাজ করছেন। কেবল সৌদি আরবেই আছেন ২২ লাখ। যদিও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে সৌদি আরবে সর্বোচ্চ ২২০ জন বাংলাদেশী মারা গেছেন। এ সংখ্যা সৌদিতে করোনা আক্রান্ত মোট মৃতের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ। এছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৪৬, কুয়েতে ৩৫ ও কাতারে নয়জন প্রবাসী বাংলাদেশী মারা গেছেন।

Manual5 Ad Code

গতকাল কাতারে বাংলাদেশ দূতাবাসের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানান, কাতারে এ পর্যন্ত নয়জন প্রবাসী বাংলাদেশী কভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন সাত-আট হাজার বাংলাদেশী। গত এক সপ্তাহে কাতারে নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্তের হার বাড়লেও সেরে ওঠার হারও বেশ ভালো। প্রতিদিন প্রায় দেড় হাজার পরীক্ষা হচ্ছে। অন্যদিকে প্রতিদিন সুস্থ হয়ে উঠছেন তিন হাজারের মতো কভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী।

বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোর তথ্য ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের করোনা সেলের হিসাবমতে, সিঙ্গাপুরের পরই সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশী ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন সৌদি আরবে। দেশটিতে প্রায় ১১ হাজার বাংলাদেশী করোনা আক্রান্ত। এছাড়া কাতারে ৭ হাজার ৫০০ জন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৩ হাজার, কুয়েতে ২ হাজার ৫০০, মালদ্বীপে ১ হাজার ১৮, বাহরাইনে ৪০০, ইতালিতে ২০০ ও স্পেনে প্রায় ১৫০ জন প্রবাসী বাংলাদেশী নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

Manual2 Ad Code

মালদ্বীপে বাংলাদেশ হাইকমিশনের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা গতকাল জানান, এখন পর্যন্ত মালদ্বীপে ১৮৮৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে, যার মধ্যে ১ হাজার ১৮ জনই বাংলাদেশী। হাইকমিশনের পক্ষ থেকে তাদের খোঁজখবর রাখা হচ্ছে। হাসপাতালে যাদের ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন, হাইকমিশন থেকে সে ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছে।

Manual1 Ad Code
Manual6 Ad Code