প্রচ্ছদ

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতিতে সরকার ভীত নয় : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

  |  ১৬:৩৪, মে ২৫, ২০২৩
www.adarshabarta.com

Manual7 Ad Code

আদর্শবার্তা ডেস্ক :

Manual7 Ad Code

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন ও ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বৈঠক করেছেন। বৃহস্পতিবার (২৫ মে) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রায় একঘণ্টা ধরে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি নিয়ে বৈঠক করেছেন তারা।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মোমেন। বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ীদের ভিসা না দেওয়ার যে নতুন নীতি যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা করেছে, তাতে সরকার মোটেও ভীত নয় বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

Manual8 Ad Code

মোমেন বলেন, আমেরিকার এই ভিসার রেস্ট্রিকশন শুধু সরকারি দলের ওপর না, অপজিশনের লোকজনেরও ওপর বর্তাবে। এতে করে আমরা আশা করি, এবার তারা (বিএনপি) ইনশাআল্লাহ একটু সচেতন হবে।

তিনি বলেন, বিএনপির সময় ১ কোটি ২৩ লাখ ফেক ভোটার তৈরি হয়েছে। যাতে ফেক ভোট না হয়, সেজন্য ভোটারের ফটো আইডি করে দিয়েছি। কেউ কেউ অভিযোগ করে যে রাতের অন্ধকারে নাকি ভোট হয়ে যায়। সেজন্য আমরা স্বচ্ছ ট্রান্সপারেন্ট ব্যালট বাক্স তৈরি করেছি। ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশনের জন্য আমরা শক্তিশালী ইসি তৈরি করেছি। ইলেকশনের সময় এটাকে ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার করার দায়িত্ব কিন্তু সে ইলেকশন কমিশনের, সরকার তাদের সাহায্য করবে।

Manual2 Ad Code

মোমেন আরও বলেন, আমরা সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচন করতে চাই, এইটাকেই তারা (যুক্তরাষ্ট্র) সমর্থন দিয়েছে। সুতরাং, নাথিং টু ওরি। সেই সঙ্গে তারা এও বলেছে যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে একটা ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশনের যে আগ্রহ, সেটাকে আরও শক্তিশালী করার জন্য তারা এই নীতিটা করেছে।

Manual4 Ad Code

এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে রাজধানীর গুলশানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে তার বাসায় বৈঠক করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির কয়েকজন নেতা।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচনের লক্ষ্যে বুধবার নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর আওতায় বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে তার জন্য দায়ী ব্যক্তি এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ দেওয়া হবে।

Manual1 Ad Code
Manual3 Ad Code