প্রচ্ছদ

১২-তে টিকা আর ৪০-এ বুস্টার

  |  ১৩:৫৫, জানুয়ারি ৩১, ২০২২
www.adarshabarta.com

Manual6 Ad Code

আদর্শবার্তা ডেস্ক :

Manual5 Ad Code

বাংলাদেশে করোনা মহামারির প্রকোপ রুখতে টিকাদানের বয়সসীমা কমানো হয়েছে। একই সঙ্গে অধিকসংখ্যক মানুষকে সুরক্ষা দিতে টিকার বুস্টার ডোজ গ্রহণের বয়সসীমা এবার ৫০ থেকে কমিয়ে ৪০ বছর করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি নিয়ে রোববার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এসব কথা বলেন। এদিকে অধ্যাপক ডা. নাজুমল ইসলাম আলাদাভাবে জানিয়েছেন, ওমিক্রন আক্রান্তদের আইসোলেশন কোয়ারিন্টনের সময় ১০ দিন করা হয়েছে। কর্মস্থলে ফিরতে করোনা নেগেটিভ সনদ লাগবে না।

ঢাকায় বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান অ্যান্ড সার্জনস মিলনায়তনে আয়োজিত এক সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের ১২ কোটি মানুষকে টিকার আওতায় আনতে সরকার কাজ করছে। সেজন্য এখন থেকে ১২ বছর বয়সি সবাইকেই টিকা দেওয়া হবে। আমাদের টিকা দেওয়ার টার্গেট সাড়ে ১২ কোটি, ইতোমধ্যে ১০ কোটি মানুষকে টিকার আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। আরও আড়াই কোটি টিকার বাইরে রয়েছেন। তাদের টিকা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। কর্মসূচি বাড়ানোর জন্য আরও দুটি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর একটি হচ্ছে ১২ বছরের ঊর্ধ্বে সবাইকে টিকার আওতায় আনা। আগে শুধু শিক্ষার্থীদের টিকা কেন্দ্রে এই ১২ বছর বয়সিদের টিকা দেওয়া হতো। এখন এটা সবার জন্যই উন্মুক্ত। অনেকেই হয়তো স্কুলে আসে না, তাদের টিকার আওতায় আনতে এই সিদ্ধান্ত। অনেক শিশু আছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করে। সে যদি বাংলাদেশের নাগরিক হয় তাহলে ফোন নম্বর দিয়েও টিকা নিতে পারবে। আরেকটি বুস্টার ডোজ।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু রাখতে এর আগে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সি সব শিক্ষার্থীকে টিকা দিতে কর্মসূচি হাতে নেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তার আওতায় এখনো শিক্ষার্থীদের টিকাদান অব্যাহত আছে। এবার শিক্ষার্থী ছাড়াও ১২ বছর বয়সি যে কেউ এই টিকা নিতে পারবে। এক্ষেত্রে ভাসমান লোকদের জনসনের টিকা দেওয়া হবে।

জাহিদ মালেক বলেন, করোনা সংক্রমণ রোধে টিকার বুস্টার ডোজ গ্রহণে বয়সসীমা কমানো হয়েছে। ৫০ বছরের বেশি বয়সের সবাইকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হচ্ছিল। সেটা কমিয়ে ৪০ করা হলো। আজ থেকে এটার কাজ চলবে। বয়স ৪০ হলেই বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে।

Manual1 Ad Code

দেশে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে করোনা প্রতিরোধে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছিল। আগামী ফেব্রুয়ারি টিকাদানের এক বছর পূর্তি হচ্ছে। ফেব্রুয়ারির মধ্যে ১০ কোটি মানুষকে প্রথম ডোজের আওতায় আনার প্রত্যাশার কথা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে দ্বিতীয় ডোজের কার্যক্রমও চলমান থাকবে।

Manual7 Ad Code

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, নতুন ধরন ওমিক্রন নিয়ে উদ্বেগ বাড়লেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ইউনিসেফ। সরকার শিক্ষার্থীদের সুরক্ষিত রেখে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু করতে চায়। এটি করোনা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় রয়েছে। সে সময় পর্যন্ত দেখে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। করোনা নিয়ন্ত্রণে জাতীয় পরামর্শক কমিটির সঙ্গে আলোচনাপর্যালোচনা করে স্কুল খোলা না বন্ধ, বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে পারব।

শিশুদের সুরক্ষা দিতে যুক্তরাষ্ট্র পাঁচ বছর বয়সি শিশুদের টিকা দিচ্ছে। বিষয়ে বাংলাদেশে কোনো উদ্যোগ নেবে কিনা, এমন প্রশ্নে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে আমাদের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, তারা বিষয়টি নিয়ে পরে জানাবে। এছাড়া টিকার ডোজ বিষয়ে কিছুটা তারতম্য রয়েছে। তারা যখন আমাদের অনুমতি দেবে, তখনই পাঁচ বছর বয়সি শিশুদের টিকাদান কার্যক্রম হাতে নেব।

এদিকে রোববার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম কোয়ারেন্টিন আইসোলেশনের সময় কমানোর তথ্য জানান। তিনি বলেন, এখন থেকে নিশ্চিত করোনা আক্রান্তদের ১৪ দিনের পরিবর্তে দিন সময় কমিয়ে ১০ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকা নতুন নির্দেশনা দেওয়া হলো। একই সঙ্গে ১০ দিন পর করোনা কোনো উপসর্গ না থাকলে কর্মস্থলে ফিরতে সনদ লাগবে না।

Manual1 Ad Code

নাজমুল ইসলাম বলেন, করোনা পরীক্ষায় পজিটিভ এলে আমরা এখন ১০ দিনের জন্য আইসোলেশনের কথা বলব। জ্বর ভালো হয়ে গেলে, উপসর্গগুলো চলে গেলে ১০ দিন পর তিনি আবার কাজে ফিরে যাবেন। তিনি বলেন, ওমিক্রনের উপসর্গ, নাক দিয়ে পানি পড়া, মাথাব্যথা, অবসন্নতা, হাঁচি, গলা ব্যথা, কাশি এই উপসর্গ দেখা দিলেই করোনা পরীক্ষা করাবেন। এখন শীতের কারণে ঠান্ডা লাগতে পারে। যে কারণে গলার স্বর ভেঙে যাওয়া বা কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসছে। এই উপসর্গ দেখা দিলেও চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। করোনা পরীক্ষা করে প্রয়োজনে হাসপাতালে যেতে হবে। যার বাসায় থেকে চিকিৎসা গ্রহণ সম্ভব তিনি সেভাবে চিকিৎসা নেবেন।

 উৎসঃ  যুগান্তর

Manual1 Ad Code
Manual8 Ad Code