প্রচ্ছদ

টাকার ওপর সিল ও লেখা নিষেধ

  |  ২০:৩৯, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২১
www.adarshabarta.com

Manual3 Ad Code

আদর্শবার্তা ডেস্ক:

Manual4 Ad Code

বিভিন্ন সময়ে ব্যাংক ও ব্যক্তি মালিকানা সিল টাকার ওপর দেয়া হয়। এতে কম সময়ে টাকা অপ্রচলনযোগ্যের পাশাপাশি গ্রাহক ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। গ্রাহক ভোগান্তি কমাতে টাকার উপর লেখা, সিল ও প্যাকেটে স্ট্যাপলিং পরিহারের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

Manual2 Ad Code

মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব কারেন্সি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে। নির্দেশনাটি সব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।

দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী বরাবর পাঠানো নির্দেশনায় বলা হয়েছে, নতুন ও পুনঃপ্রচলনযোগ্য ব্যাংক বা কারেন্সি নোটের ওপর লেখা, সিল মারা এবং স্ট্যাপলিং পরিহার প্রসঙ্গে নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, নোটের ওপর লেখা, স্বাক্ষর, সিল মারা, নোটের প্যাকেটে স্ট্যাপলিং (১০০০ টাকা মূল্যমানের নোট ব্যতীত) থেকে বিরত থাকা এবং প্যাকেটে নোটের সংখ্যা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে প্যাকেট করার পর সংশ্লিষ্ট ব্যাংক শাখার নাম, সিল, নোট গণনাকারীর স্বাক্ষর ও তারিখসম্বলিত লেবেল/ফ্ল্যাইলিফ লাগানোর বিষয়টি কঠোরভাবে পরিপালন করতে হবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকে কারেন্সি নোট বা ব্যাংক নোট জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে ২০১৯ সালের ও তার আগের নির্দেশনা, পরিপত্রে বর্ণিত সব বিধি-বিধান যথাযথভাবে অনুসরণের জন্য ব্যাংকগুলোকে পুনরায় নির্দেশনা দেওয়া হলো।

Manual2 Ad Code

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, নোট গণনাকারী কর্তৃক প্রতিটি প্যাকেটে নোটের সংখ্যা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে প্যাকেট করার পর সংশ্লিষ্ট ব্যাংক শাখার নাম, সিল, নোট গণনাকারীর স্বাক্ষর ও তারিখসম্বলিত লেবেল/ফ্ল্যাইলিফ লাগানোর বিধান থাকলেও সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, নির্দেশনা লঙ্ঘন করে সরাসরি টাকার ওপর সংখ্যা ও তারিখ লেখা, শাখার সিল, স্বাক্ষর ও অনুস্বাক্ষর, স্ট্যাপলিং ইত্যাদি করা হচ্ছে। ফলে, নোটগুলো অপেক্ষাকৃত কম সময়ে অপ্রচলনযোগ্য হওয়ার পাশাপাশি গ্রাহকরাও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। সর্বোপরি রাষ্ট্রীয় অর্থেরও অপচয় হচ্ছে। এরূপ কার্যক্রম বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্লিন নোট পলিসি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অন্যতম অন্তরায়, যা মোটেই কাঙ্ক্ষিত নয়। তফসিলি ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকে কারেন্সি বা ব্যাংক নোট জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে পুনঃপ্রচলনযোগ্য নোটের প্যাকেটে আবশ্যিকভাবে পুনঃপ্রচলনযোগ্য নোট থাকার কথা থাকলেও অনেক ক্ষেত্রে সেখানে মিউটিলেটেড নোট, নন-ইস্যুু নোট, ক্লেইমস নোট, সয়েলড নোট, বিউইল্ট-আপ নোট, মিসম্যাোচড নোট ইত্যাদি পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া, যেসব ব্যত্যয় বা অনিয়ম পরিলক্ষিত হচ্ছে সেগুলো হলো—গণনাকৃত প্যাকেটে সঠিক সংখ্যার চেয়ে নোট কম থাকা, উচ্চ মূল্যমানের নোটের প্যাকেটে কম মূল্যমানের নোট থাকা, উচ্চ মূল্যের ভিন্ন ভিন্ন সিরিয়ালের দুটি ক্লেইমস নোটের অংশ নিখুঁতভাবে জোড়া দিয়ে অর্থাৎ বিউইল্ট-আপ নোট তৈরি করে পুনঃপ্রচলনযোগ্য নোটের প্যাকেটে রাখা এবং পুনঃপ্রচলনযোগ্য নোটের প্যাকেটে জাল নোট থাকা।

Manual4 Ad Code

এ প্রেক্ষাপটে, গণনাকালে নোটের ওপর লেখা, স্বাক্ষর, সিল মারা, নোটের প্যাকেটে স্ট্যাপলিং (১০০০ টাকা মূল্যমান নোট ব্যতীত) থেকে বিরত থাকা এবং প্যাকেটে নোটের সংখ্যা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে প্যাকেট করার পর সংশ্লিষ্ট ব্যাংক শাখার নাম, সিল, নোট গণনাকারীর স্বাক্ষর ও তারিখসম্বলিত লেবেল বা ফ্ল্যাইলিফ লাগানোর বিষয়টি কঠোরভাবে পরিপালন নিশ্চিত করতে হবে।

Manual1 Ad Code
Manual4 Ad Code