প্রচ্ছদ

আমেরিকায় জুনেই হারাতে পারেন সেখানে থাকার অধিকার ২ লাখ বিদেশি কর্মী

  |  ২১:৩৭, এপ্রিল ২৯, ২০২০
www.adarshabarta.com

Manual6 Ad Code

মোঃ নাসির, বিশেষ প্রতিনিধি, আদর্শবার্তা :

করোনাভাইরাসে প্রকোপে রোজগারে টান পড়েছে আগেই। এবার আমেরিকায় থাকা ও কাজ করার মেয়াদও শেষ হয়ে যেতে পারে প্রায় ২ লাখ বিদেশি কর্মীর। আসন্ন জুন মাসই তাদের এইচ-ওয়ান-বি ভিসার মেয়াদ ফুরিয়ে যাচ্ছে। তা নবায়নে মার্কিন সরকারের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তাই তল্পিতল্পা গুটিয়ে নিজ নিজ দেশে তাদের ফিরে যেতে হতে পারে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

Manual3 Ad Code

দক্ষ কর্মীর অভাব পূরণ করতে এইচ-ওয়ান-বি ভিসা দিয়ে অন্য দেশের নাগরিকদের চাকরি দিয়ে আমেরিকায় নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্ত সেই ভিসার একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ থাকে, যা ফুরিয়ে গেলে ভিসা নবায়ন করাতে হয়।

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তা না করালে, যার নামে ওই ভিসা তিনি সে দেশে থাকার অধিকার হারান। তল্পিতল্পা গুটিয়ে নিজের দেশে ফিরে আসতে হয় তাকে। শুধু তাই নয়, তার পরে তিন থেকে দশ বছরের মধ্যে নতুন করে মার্কিন এইচ-ওয়ান-বি ভিসা পাবেন না তিনি।

করোনা পরবর্তী কর্মসঙ্কট সামাল দিতে ইতিমধ্যেই আগামী দু’মাসের জন্য মার্কিন মুলুকে অভিবাসী প্রবেশ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকার, যাতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করলে কর্মক্ষেত্রে ভিন দেশ থেকে আসা মানুষদের চেয়ে মার্কিন মুলুকে জন্মগ্রহণকারীদের প্রাধান্য দেওয়া যায়। তেমন হলে অন্য দেশ থেকে আসা নাগরকিদের ফিরে যেতে হতে পারে বলে জানিয়েছেন ওয়াশিংটন ডিসির অভিবাসী নীতি বিশেষজ্ঞ জেরেমি নিউফেল্ড।

Manual7 Ad Code

শুধু তাই নয়, গ্রিনকার্ডের আশায় যে হাজার হাজার মানুষ বসে রয়েছেন, তাদেরও খালি হাতে ফিরতে হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।

প্রতিবছর মার্কিন সরকার যত জনকে এইচ-ওয়ান-বি ভিসা দেয়, তার মধ্যে সিংহভাগই তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে কর্মরত। তাই অ্যাপল, অ্যামাজন, ফেসবুক, গুগল এবং মাইক্রোসফ্টের হয়ে ইতিমধ্যেই মার্কিন স্টেট অ্যান্ড হোমল্যান্ড সিকিয়োরিটি দফতরকে চিঠি দিয়েছে টেকনেট নামের একটি লবি সংস্থা। তাতে ভিসার মেয়াদ ফুরিয়ে গেলে কমপক্ষে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অভিবাসীদের ওই সব সংস্থায় কাজ চালিয়ে যেতে অনুমতি দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। তবে মার্কিন সরকার এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনও সাড়া দেয়নি।

Manual6 Ad Code

অন্যদিকে, নোভেল করোনার জেরে এই মুহূর্তে ভারতসহ একাধিক দেশের সীমান্ত বন্ধ। পুরোপুরি বন্ধ বিমান সেবাও। এমন পরিস্থিতিতে মার্কিন মুলুক থেকে যে দেশে ফিরবেন, সেই উপায়ও নেই সে দেশে কর্মরত অভিবাসীদের। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন বহু মানুষ, যাদের মধ্যে অন্যতম হলেন মানসী। ৩১ বছরের মানসী দু’বছর হল নিউ জার্সিতে দাঁতের ডাক্তার হিসাবে প্র্যাকটিস শুরু করেছেন। তার স্বামী নন্দনও পেশায় দাঁতের চিকিৎসক।

Manual3 Ad Code

ইচ-ওয়ান-বি ভিসার অধীনে বিনা রোজগারে আমেরিকায় একটানা ৬০ দিনের বেশি থাকা যায় না। কিন্তু করোনা হানা দেওয়ার পর মার্চের মাঝামাঝি সময় থেকেই রোজগার বন্ধ অনেক কর্মীর। জুনে কারও কারও ভিসার মেয়াদ শেষ হচ্ছে। কিন্তু দেশে ফেরার কথা ভাবতেও পারছেন না তারা। করোনার জেরে ভারতের সীমান্ত বন্ধ। তার উপর মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় অনেক ঋণও নিতে হয়েছিল তাদের, যা আজও মাথার উপর ঝুলছে। কোনওভাবে দেশে ফিরে গেলেও সেখানে যে টাকা রোজগার করবেন, তাতে ওই বিপুল ঋণ শোধ করবেন কি করে, সেই চিন্তাই তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে তাদের।

Manual1 Ad Code
Manual2 Ad Code