প্রচ্ছদ

জাতিসংঘের ৭৫তম বছর পূর্তিতে ভাষণ না দিয়ে সমালোচনার মুখে ট্রাম্প

  |  ০৯:২২, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২০
www.adarshabarta.com

মোঃ নাসির, নিউ জার্সি, আমেরিকা থেকে:

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্বজুড়ে শান্তি বজায় রাখতে জন্ম হয়েছিল জাতিসংঘের। সংস্থাটির ৭৫ তম বছর পূর্তিতে ২১ সেপ্টেম্বর (সোমবার) একত্রিত হয়েছিলেন বিশ্ব নেতৃবৃন্দ। জানা জানায়, প্রতিষ্ঠালগ্নের মতো নতুন আরেকটি পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হচ্ছে জাতিসংঘকে। করোনাভাইরাসের মতো মহামারির ভয়াবহতা ও অর্থনৈতিক বিপর্যস্ততার মধ্যে আয়োজন করা হয়েছিল এ ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের। এদিন প্রথম বক্তা হিসেবে নাম ছিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পে। কিন্তু ট্রাম্পের বদলে যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে বক্তব্য দিয়েছেন জাতিসংঘে দেশটির অ্যাকটিং ডেপুটি রিপ্রেজেনটেটিভ চেরিথ নরম্যান চালেট।

তিনি বলেছেন, ‘জাতিসংঘ অনেক ক্ষেত্রেই সফল হয়েছে। আবার এই সংস্থা নিয়ে উদ্বেগের কারণও আছে। অনেক দিন ধরে জাতিসংঘে সংস্কার হচ্ছে না। সেখানে স্বচ্ছতা নেই।’এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মের্কেল, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁ, চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংসহ অধিকাংশ রাষ্ট্রনেতা ভাষণ দিয়েছেন। কিন্তু ট্রাম্প এই অনুষ্ঠানকে গুরুত্ব দিলেন না। ফলে অনেকেই নাম উল্লেখ না করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রবল সমালোচনা করেছে।

চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং বলেন, ‘বিশ্ব পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণ করার অধিকার কোনো দেশের নেই। একতরফা আধিপত্যের সময় আর নেই। সেই সুযোগও কাউকে দেয়া উচিত হবে না।’

জার্মানির চ্যান্সেলর মের্কেল বলেছেন, ‘জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে আরো ঐক্য থাকা দরকার। কেউ যদি মনে করে, এখানে তাদের স্বার্থ দেখা হবে, তা হলে তারা ভুল করছে। আমরা আমাদের ভালো-মন্দ ভাগ করে নেব। আমরা সকলে মিলে একটাই পৃথিবী।’ আর ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁ মনে করেন, ‘এই সংগঠনের ভিত দুর্বল হচ্ছে। যারা এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা, তারাই একে আঘাত করছে।’এর মধ্যে দিয়ে নাম না ধরে যুক্তরাষ্ট্র ও ট্রাম্পেরই সমালোচনা করেছেন বিশ্ব নেতারা।

জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেসের ভাষণে উঠে এসেছে জলবায়ু পরিবর্তন, দারিদ্র্য, ঘৃণা, করোনা সহ নানা প্রসঙ্গ। করোনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এই মহামারি পৃথিবীর ভঙ্গুরতাকে প্রকাশ করে দিয়েছে। এখন এক জোট থেকে সেগুলোকে আমরা নিরূপণ করতে পারি। আজ আমাদের বহুমুখী চ্যালেঞ্জ এবং এর জন্য দরকার বহুমুখী সমাধান।’

তিনি বলেন, ‘কেউ এককভাবে বৈশ্বিক সরকার চায় না। কিন্তু বৈশ্বিক সরকার ব্যবস্থার উন্নতিতে আমাদের এক সঙ্গে কাজ করতে হবে।’