প্রচ্ছদ

জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে শেখ কামালের ৭১তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন

  |  ২০:০৫, আগস্ট ০৯, ২০২০
www.adarshabarta.com

হাকিকুল ইসলাম খোকন, মোঃ নাসির, হেলাল মাহমুদ, যুক্তরাষ্ট্র :

আজ জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে যথাযোগ্য মর্যাদায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ শেখ কামাল এর ৭১তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়। বিশ্বব্যাপী জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসেবে প্রথমবারের মত বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনসমূহে শেখ কামালের জন্মদিন পালনের নির্দেশনা অনুযায়ী স্থায়ী মিশন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। কোভিড-১৯ এর প্রেক্ষাপটে স্থানীয় নির্দেশনা অনুযায়ী সামাজিক দূরত্ব মেনে স্থায়ী মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে মিশনের সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারি অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ শেখ কামাল এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকের নির্মম বুলেটে জাতির পিতার পরিবারের সকল শহীদ সদস্যগণের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এরপর শেখ কামালের জীবন ও কর্মের উপর একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানটিতে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। তিনি বলেন, “শহীদ শেখ কামাল ছিলেন একাধারে দক্ষ সংগঠক, ক্রীড়াবিদ, সঙ্গীত শিল্পী, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। বহুমুখী গুণের অধিকারী এই প্রতিভাদীপ্ত তরুন ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের মাধ্যমে দেশের যুবসমাজকে যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশের পুনর্গঠনে কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন”। শেখ কামালকে চির তারুন্যের প্রতীক আখ্যা দিয়ে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, “আবাহনী ক্রীড়া চক্রের প্রতিষ্ঠাতা, ঢাকা থিয়েটারের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, স্বাধীন বাংলাদেশে গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন আন্দোলনের একজন পুরোধা এবং স্পন্দন শিল্পগোষ্ঠী নামে সঙ্গীত সংগঠনসহ অসংখ্য উদ্যোগের সাথে যুক্ত শেখ কামালের রেখে যাওয়া আদর্শ উজ্জ্বল আলোক বর্তিকা হয়ে আজীবন বাংলাদেশের যুবসমাজকে পথ দেখাবে”।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অসামান্য অগ্রগতির উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, এর মধ্য দিয়েই বাস্তবায়িত হচ্ছে স্বপ্নদর্শী তরুন শেখ কামালের স্বপ্ন।

রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, “জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর ঘাতকেরা বাংলাদেশের ইতিহাস বিকৃতি ও মুছে দেওয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিল। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা সফল হয়নি। কারণ বাংলাদেশের ইতিহাস আর জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের ইতিহাস একই সূত্রে গাঁথা”। তিনি প্রবাসে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মের মাঝে জাতির পিতা ও তার পরিবারের ইতিহাস বিশেষ করে শেখ কামাল এর জীবন ও কর্ম তুলে ধরতে আহ্বান জানান।

স্বাগত বক্তব্যের পর মুক্ত আলোচনা পর্বে মিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারিগণ অংশগ্রহণ করেন। তাঁরা বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক জগতের উন্নয়নে শহীদ শেখ কামাল যে অবদান রেখে গেছেন তা জাতি চিরদিন স্মরণ করবে। শেখ কামালের আদর্শ ধারণ করে দেশের যুব সমাজ ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশকে আরও উচ্চতর আসনে তুলে ধরবে মর্মে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন বক্তাগণ।