প্রচ্ছদ

সবাইকে কাঁদিয়ে চলে গেলেন শাহান আরা আবদুল্লাহ

  |  ১১:০৫, জুন ০৯, ২০২০
www.adarshabarta.com

হাকিকুল ইসলাম খোকন / মোঃ নাসির / হেলাল মাহমুদ, বাপসনিউজ, যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি :

সকলকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন পরিবিক্ষন কমিটির আহ্বায়ক (মন্ত্রী পদমর্যাদা), বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সদস্য ও বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ-এমপি’র সহধর্মীনি ও বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ’র মাতা, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতের প্রত্যক্ষদর্শী, মুক্তিযোদ্ধা শাহান আরা আবদুল্লাহ।

৭ জুন রবিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন)। এর আগে গত ৬ জুন শুক্রবার শারীরিক অসুস্থতার কারণে তাকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মৃত্যুকালে তিনি স্বামী, তিন পুত্র সন্তান ও এক কন্যা সন্তানসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। খবর বাপসনিউজ। রাতে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস। তিনি জানিয়েছেন, তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। ৮ জুন সোমবার তাকে বরিশালে নিয়ে আসা হয় এবং বরিশালেই তার দাফন করা হয়।
এদিকে তার মৃত্যুর খবর পেয়ে রাতেই বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটে যান আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, দলের যুগ্ম সম্পাদক আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাসিম, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়সহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। সময় তারা মরহুমার বিদায়ী আত্মার মাগফেরাত কামনা ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
অপরদিকে শাহান আরা বেগম এর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে আসে। বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের নেতৃবৃন্দসহ শত শত মানুষ লকডাউন উপেক্ষা করে রাতেই ছুটে যান গৌরনদীর সেরালস্থ আবুল হাসনাত আবদুল্লাহর পৈতৃক বাড়িতে এবং নগরীর কালিবাড়ী রোডস্থ মেয়র সেরনিয়বাত সাদিক আবদুল্লাহর বাসভবনে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাঙ্গে বউ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মামাতো ভাই’র স্ত্রী শাহান আরা আবদুল্লাহ ১৯৭৫ এর ১৫ই আগস্ট কালরাতের প্রতক্ষদর্শী শাহান আরা আবদুল্লাহ। সেদিন ঘাতকের বুলেটে ক্ষত বিক্ষত হওয়া শাহান আরা বেগম অলৌকিকভাবে আল্লাহ’র অশেষ রহমতে বেঁচে যান। তবে তার শিশুপুত্র সুকান্ত বাবু আব্দুল্লাহ ঘাতকের বুলেটে প্রান হারান।
বরিশাল রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও জনপ্রিয় শাহান আরা আবদুল্লাহ বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি। এছাড়া বরিশাল শব্দবলি গ্রুপ থিয়েটারের চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। এছাড়া বিশিষ্ট সমাজসেবক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে তার ব্যাপক পরিচিতি ছিলো।
তাছাড়া ছাত্র জীবন থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন শাহান আরা আবদুল্লাহ। তিনি ছিলেন বরিশাল সরকারি মহিলা কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি। এছাড়াও বর্তমানে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন শাহান আরা আবদুল্লাহ।
তার এই আকস্মিক মৃত্যুতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. ছাদেকুল আরেফিন, বরিশালের জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান ও বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শাহাবুদ্দিন খান গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তারা মরহুমের বিদেহী আত্মা মৃত্যুতে গভীর শোক ও দু:খ প্রকাশ করেছেন। এছাড়াও আমেরিকায় বসবাসকারী লেখক, সাংবাদিক ,সাহিত্যিক, রাজনীতিক, সাংকৃতিক সংগঠন, রাজনীতিক, সামাজিক সংগঠন সহ অন্যান্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দ গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন।

আমেরিকা বসবাসকারীদের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু পরিষদ যুক্তরাষ্ট্রের সভাপতি ড.নুরান নবী, সাধারন সম্পাদক রেফায়েত চেীধুরী, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদক এমএ সালাম, শিশু সাহিত্যিক হাসানুর রহমান, ভৃতত্তবীদ গিয়াস উদ্ভিদ আহমেদ, কবি এবিএম সালেহ উদ্দীন, সাংবাদিক মোঃ নাসির, মানবাধিকার কর্মী নুরুন নাহার মেরী, সিডিসির দেলওয়ার মানিক, আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুবুর রহমান মিলন, জোসেফ কেনেডি গোমেজ, ডা: টমাস দুলু রায় এবং যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী পরিবারের ড: প্রদিপ কর, সিনিয়র সাংবাদিক হাকিকুল ইসলাম খোকন, মোহম্মদ আলী সিদিদকী, এ্যডভোকেট শাহ মো: বখতিয়ার আলী, শরীফ কামরুল আলম হীরা, সাদেকুল বদিউজ্জান পাননা, সাংবাদিক হেলাল মাহমুদ, আসাফ মাসুক, অধ্যাপক মমতাজ শাহানাজ, মিজবাহ আহমেদ, ফরিদ আলম, কায়কোবাদ খান, জালাল উদ্দিন জলিল, মনজুর চৌধুরী, রুমানা আক্তার, আতাউর রহমান তালুকদার, মিজানুর রহমান চৌধুরী, জাহিদ হাসান. শহিদুল ইসলাম, এমএ করিম জাহাংগীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হোসাইন, মুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমান চেীধুরী, খুরশিদ আনোয়ার বাবলু, মুক্তিযোদ্ধা নজমুল ইসলাম চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা সাইদুর রহমান সাইদ, ইলিয়ার রহমান, আবুল কাশেম ভূইয়া, শিক্ষানুরাগী মোশাররফ হোসেন খান চেীধুরী, রুমানা আক্তার, শহিদুল ইসলাম, আতাউর রহমান কামাল, নাদের মাষ্টার,মনজুর চেীধুরী, জাহাংগীর কবির, দেওয়ান আশরাফ, দেলওয়ার হোসেন, আতাউর রহমান, সাখাওয়াত হোসেন, শারমিন আক্তার, নাহিদা পারভিন, শেখ জামাল আহমেদ, সেবুল মিয়া, ইফজাল আহমদ চৌধুরী, মাহমুদ, ফরিদ উদ্দিন, খন্দকান জাহিদুল ইসলাম, ফিরোজ আহমেদ কল্লোল, ওসমান গনি, সুহাস বডুয়া, দেলওয়ার মানিক, শাহাদত হোসেন,দেলওয়ার, নাদের মাষটার,শরীফ জাহাংগীর আলম, হাসান জিলানী, এবিএম মিজানুল হাসান, আতাউর তালুকদার, আলমগীর, সাজ, মাইনুদদিন, ড: সুলতান মাহমুদ, ড: মকবুল হোসেন তালুকদার, মো: আলমগীর, জাকির হোসেন, জামাল মিয়া,মিজান চৌধুরী,জিয়া, ফিরোজ আহমেদ কতল্লাস, ফিরোজ মাহমুদ সহ আমেরিকার রাজনীতিক, কবি, লেখক, সাংবাদিক, শিল্পী এবং
প্রবাসের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবন্দ।