প্রচ্ছদ

যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশের দুই শতাধিক বিজ্ঞানীর অংশগ্রহণে ভার্চুয়াল সেমিনার

  |  ১৬:১১, জুন ০৩, ২০২০
www.adarshabarta.com

হাকিকুল ইসলাম খোকন / মোঃ নাসির, বাপসনিউজ, যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি :

বাংলাদেশ সোসাইটি অব মাইক্রোবায়োলজিস্ট (বিএসএম) ও ঢাকা ইউনিভার্সিটি মাইক্রোবায়োলজি এলামনাই এসোসিয়েশন (ডুমা) এর যৌথ উদ্যোগে ‘কোভিড-১৯ এর প্রতিরোধ, চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক এক আন্তর্জাতিক ভার্চুয়াল সিম্পোজিয়াম অনুষ্ঠিত হয় ৩০ মে রাতে। বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞগণ তাদের মতামত তুলে ধরেন এবং দু’দেশের দুই শতাধিক অনুবিজ্ঞানী, চিকিৎসক, গবেষক ও পেশাজীবীগণ অংশগ্রহণ করেন দু’ঘণ্টাব্যাপি এ সেমিনারে।

ইনফেকশাস ডিজিস বিষয়ক বিশেষজ্ঞ, অনুজীববিজ্ঞানী, চিকিৎসকগণ এ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বলে ডুমার সদস্য এবং নিউজার্সিতে বসবাসরত বিজ্ঞানী ড. সুবর্ণা খান এ সংবাদদাতাকে জানান।
বাংলাদেশ প্রেক্ষিত, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের জন্য প্রযোজ্য রোগতত্ব ও দুইদেশের তুলনামূলক আলোচনা করেন ইউনিভার্সিটি অব ফ্লোরিডার ৫ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। এরা হলেন ইমার্জিং প্যাথোজেন ইনস্টিটিউট এর পরিচালক ড. গ্লেন মরিস জুনিয়র, ডিভিশন অব ইনফেকশাস ডিজিস এন্ড গ্লোবাল মেডিসিনের ড. মাইকেল লজার্ডো, চিফ এন্ড এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ডাঃ কার্তিক চেরাবুড্ডি, এমডি, কলেজ অব মেডিসিনের সহকারি অধাপক ড. এরিক নেলসন এবং পরিবেশ ও বিশ্বস্বাস্থ্য বিষয়ক রিসার্স প্রফেসর ড. জন লেডনিকি। বাংলাদেশে কোভিড-১৯ এর বিস্তার, সংক্রমণ, প্রতিরোধে এ পর্যন্ত গৃহীত সরকারি-বেসরকারি পদক্ষপেগুলো নিয়ে আলোচনা করেন আইসিডিডিআরবির ইমিরেটাস সায়েন্টিস্ট ড. ফেরদৌস কাদরি, ঢাকা বিশ্ববিদালয়ের অনুজীববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও দেশের বিশিষ্ট ভাইরাস বিশেষজ্ঞ ড. মাহমুদা ইয়াসমিন।

আইসিডিডিআরবির ভাইরোলজি ল্যাবের প্রধান ড. মুস্তাফিজুর রহমান কোভিড-১৯ প্রতিরোধ, চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনা এর নানা বিষয়ে আলোচনা ও দিকনির্দেশনা দেন।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুজীববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মনজুরুল করিম, ড. সঙ্গীতা আহমেদ ও বায়োডিজাইন ইঞ্জিনিয়ারিং, ইউএসএ এর গবেষক ড. মাসমুদুর রহমান। বাংলাদেশ প্রেক্ষিতে কোভিড-১৯ উদ্ভুত নানা ধরণের হেলথ ক্রাইসিস এর বিশ্লেষণ করে লকডাউন, সামাজিক দূরত্ব ও রোগীর চিকিৎসা বিষয়ক সুর্নিদিষ্ট সুপারিশমালা প্রদান করেন আলোচকরা। কোভিড-১৯ মোকাবেলায় অনুবিজ্ঞানী, চিকিৎসক, গবেষক ও পেশাজীবীগণ একসাথে সমন্বিতভাবে সরকারের সাথে কাজ করার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়।