প্রচ্ছদ

কানাইঘাটে আশ্রয় কেন্দ্রে ছুটছেন বানভাসি মানুষ, নৌকা ডুবে ব্যবসায়ী নিখোঁজ

  |  ১৪:২০, মে ১৮, ২০২২
www.adarshabarta.com

সিলেট অফিস :

কানাইঘাট উপজেলায সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে।উপজেলা সদর ও পৌর শহর এবং ৯টি ইউনিয়নের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।

মঙ্গলবার কানাইঘাট সুরমা নদীর পানি বিপদ সীমার ১৪৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। কানাইঘাট বাজারসহ উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে হাটু পানি থেকে কোমর পানি বিরাজ করায় অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। কানাইঘাট-দরবস্ত, গাজী বোরহান উদ্দিন সড়কের নিচু এলাকা তলিয়ে যাওয়ায় সিলেট নগরীর সাথে কানাইঘাট সদরের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। পরিবহনের অভাবে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গেছে ও সংকট দেখা দিয়েছে। অনেক এলাকায় নতুন করে প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। উপজেলার প্রায় ৯০ ভাগ এলাকা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। হাজার হাজার বাড়ি ঘর এখনো বন্যার পানিতে তলিয়ে আছে। দেড় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি মানবেতর জীবন যাপন পার করছেন।

উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকার সড়ক যোগাযোগ সম্পূর্ণ বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় কোনো ধরনের ত্রাণসামগ্রী তারা পাচ্ছেন না। গ্রামীন এলাকার সমস্ত পাকা, কাচা রাস্তা-ঘাট ডুবে যাওয়ায় লোকজন ঘর থেকে বাহির হতে পারছেন না।

সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মমতাজগঞ্জ বাজারের পাশে সুরমা নদীতে নৌকা ডুবে লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউপির নক্তিপাড়া গ্রামের ফয়জুর রহমানের ছেলে ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান (৫০) নিখোঁজ রয়েছেন। এখন পর্যন্ত তার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। ১৭টি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রের পাশাপাশি বিভিন্ন উচু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানিবন্দি প্রায় ২ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন বলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম জানিয়েছেন।

উপজেলার ৯০ ভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি আক্রান্ত হওয়ায় বন্ধ রয়েছে বলে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জানিয়েছেন। কৃষি, মৎস্য সেক্টরের বড়ধরনের ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।