প্রচ্ছদ

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কে জয়ী হবেন?

  |  ১৬:৪৬, এপ্রিল ০৫, ২০২২
www.adarshabarta.com

আদর্শবার্তা ডেস্ক :

আগামী ১০ এপ্রিল ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁসহ ১২ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এতে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসতে ম্যাক্রোঁ শনিবার (২ মার্চ) তার দেশে নির্বাচনী প্রচারে প্রথম সমাবেশটি করেছেন। নির্বাচনে ম্যাক্রোঁর সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন মেরিন লি পেন।

আগামী ১০ এপ্রিল (রোববার) প্রথম দফায় নির্বাচনে ফ্রান্সের ভোটাররা তাদের কাঙ্ক্ষিত ব্যক্তিকে প্রেসিডেন্ট পদে ভোট দেবেন। ধারণা করা হচ্ছে, এই নির্বাচনে কেউই সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পেয়ে জয়ী হতে পারবেন না।

প্রতিযোগীদের মধ্যে চার নারী ও আট পুরুষ প্রার্থী রয়েছেন। তাদের মধ্যে একজনকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে বেছে নিতে হবে দেশটির জনগণকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রেসিডেন্টের মূল ভূমিকা থাকবে ফ্রান্সকে পুর্নগঠন করা এবং আগামী পাঁচ বছরের জন্য ইউরোপের বিভিন্ন কার্যক্রমে সক্রিয় থাকা। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এই অগ্রযাত্রায় কিছুটা প্রভাব ফেলেছে। এছাড়া ভোটারদের জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়াও এই নির্বাচনে বড় একটি ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এদিকে শেষ মুহূর্তের নির্বাচনী প্রচারণায় সক্রিয় হয়েছেন ম্যাক্রাঁ। এতদিন ইউক্রেন যুদ্ধেই তিনি মেতে ছিলেন। প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে বসে তাকে রাজনীতি চালিয়ে যেতে হয়েছিল। অন্যদিকে লি পেন জনগণের জীবনযাত্রার ব্যয়সহ বিভিন্ন মৌলিক ইস্যু নিয়ে মাঠে তৎপর রয়েছেন।

আগামী ২৪ এপ্রিলের দ্বিতীয় দফার নির্বাচনী জরিপে প্রাথমিক পর্যায়ে লি পেনকে দ্বিতীয় স্থানে দেখানো হয়েছে। সেখানে ম্যাক্রোঁর সঙ্গে তার ভোটের ব্যবধান মাত্র ৬ শতাংশ। বলা হয়েছে, দ্বিতীয় দফায় ম্যাক্রোঁর সাথে তার ব্যবধান হ্রাস পাচ্ছে। এর আগে ২০১৭ সালের নির্বাচনেও লি পেন অল্প ব্যবধানে হেরেছিলেন। এবার সেই ব্যবধান আরও কমছে বলে জরিপে উঠে এসেছে।

রাজনৈতিক বিরোধীরা এখনও লি পেনের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি পার্টিকে বর্ণবাদী, জাতীয়তাবাদী, ইহুদিবিদ্বেষী এবং মুসলিমবিরোধী বলে নিন্দা করে আসছেন। কিন্তু ফ্রান্সের পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এলাবের সর্বশেষ মাসিক জরিপে দেখা যাচ্ছে, দলটি এখন সুর নরম করে ফেলেছে। ৫৩ বছর বয়সী লি পেন তৃতীয় দফায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন এবং ম্যাক্রোঁর সাবেক প্রধানমন্ত্রী এডুয়ার্ড ফিলিপের পরে দেশটির দ্বিতীয় পছন্দের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছে।

দেশটির নাগরিকদের জীবনযাত্রার ব্যয়ে গুরুত্ব দিচ্ছেন লি পেন। এছাড়া জ্বালানি সংকট ও মূল্যবৃদ্ধি তিনি নির্বাচনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছেন। তার সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সম্পর্ক রয়েছে। এর আগে ২০১৭ সালে তিনি পুতিনের সঙ্গে দেখা করেন। গত সপ্তাহে লি পেনকে বিপজ্জনক হিসেবে অ্যাখ্যা দিয়েছেন ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিন । তিনি বলেন, এই নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে লি পেন জিততেও পারেন। তবে ম্যাক্রোঁ লি পেনের উগ্রবাদী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে জনগণকে সতর্ক করেছেন।

ছবি: ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ও মেরিন লি পেন
সূত্র: বিবিসি, গার্ডিয়ান ও ফান্স২৪