প্রচ্ছদ

অক্টোবরেই করোনার টিকার আনছে ভারত

  |  ১৪:৩৪, এপ্রিল ২৯, ২০২০
www.adarshabarta.com

Manual3 Ad Code

মোঃ নাসির, বিশেষ প্রতিনিধি, আদর্শবার্তা :

Manual7 Ad Code

কোভিড-১৯ প্রতিরোধে যুক্তরাষ্ট্রের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা যে টিকা উদ্ভাবন করছেন তা অক্টোবরের মধ্যেই বাজারে আনতে চায় ভারত। টিকাটি ইতিমধ্যে বানরের দেহে প্রয়োগ করে সফলতা পাওয়া গেছে বলে দাবি বিজ্ঞানীদের। গবেষকরা গত সপ্তাহ থেকে মানুষের দেহে এর পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু করেছেন।
মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মানুষের ওপর পরীক্ষামূলক প্রয়োগের আগে অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীদের তৈরি করা টিকা বানরের দেহে প্রয়োগ করে সফলতা মিলেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের হ্যামিলটনের রকি মাউন্টেন ল্যাবরেটরিজের বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ৬ টি বানরের ওপর প্রথমে টিকাটি প্রয়োগ করা হয়। এরপর সেগুলোর দেহে ব্যাপক মাত্রায় কোভিড-১৯ ভাইরাস ঢোকানো হয়। ২৮ দিন পর দেখা গেছে বানরগুলো পুরোপুরি সুস্থ আছে।

Manual4 Ad Code

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই টিকাটি উৎপাদনের দায়িত্ব পেয়েছে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট। এই কোম্পানিটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান।

সিরাম ইনস্টিটিউট জানিয়েছে, আগামী সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের মধ্যেই এই টিকা বাজারে আনতে পারবে তারা। সবকিছু ঠিক থাকলে ভারতের পুনে শহরের দু’টি কারখানায় টিকা তৈরির কাজ শুরু হবে। আগামী বছরের মধ্যে ৪০ কোটি ডোজ টিকা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। উৎপাদিত টিকার বাজার মূল্য হবে এক হাজার রুপি।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনার টিকা বানরের দেহে সফল প্রয়োগের খবর পাওয়ার পরপরই সিরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী আদর পুনাওয়ালা টিকা উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যেহেতু বানরের ওপর টিকাটি কাজ করেছে, সেহেতু মানষের ওপরও তা কাজ করবে বলে আশাবাদী তিনি।

পুনাওয়ালা বলেন, অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীদের ওপর আমাদের পূর্ণ আস্থা ছিল বলেই তাদের সঙ্গে এ কাজে যুক্ত হয়েছি। আর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঝুঁকি তো নিতেই হয়।

Manual6 Ad Code

আগামী সেপ্টেম্বর নাগাদ অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের তৈরি টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ফল পাওয়া যাবে। আর তা সফল হবে বলে মনে করেন পুনাওয়ালা।

অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীরা বলেছিলেন, টিকাটি কাজ করছে কিনা শুধু এটুকু দেখাই যথেষ্ট নয়। বরং তাতে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে কিনা অথবা ভাইরাস প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ছে কিনা তাও দেখতে হবে।সেজন্য একটু সময় লেগে যাবে।

Manual5 Ad Code

পুনাওয়ালা জানান, প্রতি ডোজ টিকার বাজার মূল্য হবে এক হাজার রুপি। তবে ভারত সরকার চাইলে জনগণকে তা বিনামূল্যে দিতে পারে। আগামী চার-পাঁচ মাসের মধ্যে ৩০ থেকে ৫০ লাখ ডোজ টিকা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সিরাম ইনস্টিটিউট। এজন্য ৩০ থেকে ৪০ কোটি রুপি বিনিয়োগ করা হবে।

Manual1 Ad Code
Manual3 Ad Code